চাকরি ও পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন চবি শিক্ষার্থী রাজু
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিহত শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর ইসলাম রাজু চাকরি ও পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ভাবিয়ে তুলেছিল তাকে। সহপাঠী ও রুমমেটদের সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনাও করতেন রাজু।
বৃহস্পতিবার রাজুর মরদেহ উদ্ধারকালে তার একাধিক সহপাঠী ও এক রুমমেটের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহত রাজু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার হোসাইনপুর গ্রামে। লেবানন প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের বড় সন্তান ছিলেন রাজু।
নিহত রাজুর সঙ্গে একই কটেজে ১১ মাস রুমমেট ছিলেন মোহাম্মদ আজিম। ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, রাজু ভাই ছিলেন অন্তর্মুখী স্বভাবের। কারও সঙ্গে যেচে কথা বলতেন না। তৃতীয় বর্ষের বেশ কয়েকটি কোর্সে রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল। এছাড়া চাকরি নিয়ে ভাবতেন তিনি। থাকতেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। এছাড়া দেশে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো আলোচনা করতেন, যা তাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। উনার সঙ্গে সর্বশেষ আমার ৩০ নভেম্বর কথা হয়েছিল। সেদিনই আমি কটেজ ছেড়ে আসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, বিভাগে অনিয়মিত ছিল রাজু। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতো সে। পড়াশোনায় আগ্রহ কম ছিল। বাড়ি থেকে পাঠানো টাকা দিয়েই চলতো রাজু।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অং সান খীসার উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা এতিম আলী খান কটেজ থেকে জাহাঙ্গীর ইসলাম রাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাটহাজারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি) বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে আমরা ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহটি হিমঘরে রয়েছে। আগামীকাল সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
আবদুল্লাহ রাকীব/আরএআর/পিআর