রাবিতে রাতভর অনশনে ১৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফলিত পদার্থ ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে একিভূতকরণের দাবিতে আমরণ অনশনের অংশ হিসেবে রাতেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ফলিত পদার্থ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় অনশন অব্যাহত রেখেছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে অনশনে অংশ নেয়া ১৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন- ১ম বর্ষের ইশরাত, তমা বিশ্বাস, আশিক, আসওয়াদ, শহিদুল ইসলাম শুভ, দ্বিতীয় বর্ষের চৈতি ঘোষ, প্রিয়াংকা, মিহা নৌমিন, হৃদয় মাহমুদ, তৃতীয় বর্ষের রফিকুল ইসলাম, অনিকা তাবাসসুম পুস্প, সাবিরা খাতুন, কিশোর মাহমুদ, ৪র্থ বর্ষের মধুসূদন গুপ্ত, মমিনুন, মবিন, রাজ্জাক কিশোরসহ ১৭ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ফলিত পদার্থ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানেরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। অসুস্থদের স্যালাইন দেয়া হয়েছে। গুরুতর অসুস্থদের বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন এবং অনশন কর্মসূচি তুলে নেয়ার অনুরোধ জানান। তবুও শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে দাবি আদায়ে অনড় রয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুন্না হোসাইন বলেন, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এখানে অবস্থান করব। তবে ১৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, একজন শিক্ষার্থী সুস্থ থাকা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ দিকে এপিইই শিক্ষার্থীদের বিপরীত পাশে বিভাগ একীভূতকরণের বিপক্ষে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, এ বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর বাইরে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।
সালমান শাকিল/আরএআর/এমকেএইচ