হাবিপ্রবির প্রক্টর-ছাত্র পরামর্শকসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রক্টর অধ্যাপক খালেদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক তারিকুল ইসলামসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
নারী শিক্ষককে লাঞ্ছনা, ছিনতাই ও অন্যান্য শিক্ষকদের মারধর করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় মামলাটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাসান জামিল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় ট্রেজারারের কক্ষে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৫৭ জন শিক্ষক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে তাদের ইনক্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে যান। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক খালেদ হোসেন ও ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম , মাৎস্য অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন নুর, ফুড প্রসেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী মোর্শেদুল আলম রনি ও এগ্রিকালচার অনুষদের শিক্ষার্থী স্বপন কুমার বর্মণসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জন ছাত্র রামদা, চাপাতি ও হকিস্টিক নিয়ে ট্রেজারারের কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষকদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এ সময় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবরিন মোস্তাফিজকে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করা হয়। তার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয়। রামদা, চাপাতি ও হকিস্টিকের আঘাতে রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহসীন আলী মিঠু, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদ সুলতানা ও মাৎস্য অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় আহত হন। এ সময় ঘটনাস্থলে গেলে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান জামিলকেও হুমকি দেয়া হয়।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো. রেদওয়ানুর রহিম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আগামী ২৪ নভেম্বরের কর্মকর্তা পদে ও ১ ডিসেম্বরের প্রভাষক পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৫৭ জন শিক্ষক ইনক্রিমেন্ট পাবেন না এবং যাদের ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়েছে তা কর্তন করার জন্য হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকরা ছয় দফা দাবিতে ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৫৭ জন শিক্ষক ইনক্রিমেন্ট প্রদানের দাবিতে তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এ ধরণের চিঠি দেয়ার কোনো বৈধতা নেই। আমরা ইনক্রিমেন্ট পাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শফিউল আলম ইউজিসি থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/পিআর