সংঘর্ষের পর এবার চবি ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ০১ নভেম্বর গভীর রাতে সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগের দু’পক্ষে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। এই ঘটনার পর এবার দু’পক্ষ হাটহাজারী থানায় পাল্টাপাল্টি ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলা দায়ের করেছে। দুই মামলায় উভয় পক্ষের মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৩ নভেম্বর রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাংগীর। তিনি বলেন, দুই পক্ষের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি পক্ষে সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. আল আমিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
আসামি করা হয়-চারুকলা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আনোয়ার হোসেন শুভ, মার্কেটিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রাবণ মিজান, আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মিজান শাইখ, বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাঈদ করিম মুগ্ধ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শাহিব তানিম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আল আমিন শান্ত, আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ফোরকানুল আলম এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শফিকুল ইসলাম শাওন। এরা সবাই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে, এই মামলা দায়েরের পর পাল্টা আরেকটি ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলা দায়ের করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা। অজ্ঞাত ৩ জনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন ইংরেজী বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আবু হেনা রনি।
এই মামলার আসামিরা হলেন- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. আল আমিন ভূঁইয়া, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইমরান হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের কনক সরকার,পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের পিয়াস সরকার।
এ ছাড়া আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা খবির সাদাফ, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রান্ত মল্লিক, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সন্দ্বীপ বিশ্বাস, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মোহন খান এবং একই বর্ষের আরবী বিভাগের অলি উল্লাহ। এরা সবাই নওফেলের অনুসারী সিএফসি পক্ষের হিসেবে পরিচিত।
মামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের জামান নূর বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
নাছির পক্ষের ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মনসুর আলম জাগো নিউজকে বলেন, সংঘর্ষে আমাদের কর্মী আহত হয়েছে। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
আবদুল্লাহ রাকীব/এমআরএম