চবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৭ অক্টোবর (শনিবার)। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর একটি জালিয়াতি চক্র সক্রিয় থাকে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও এই চক্রকে রুখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চবি উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও ছাপানো থেকে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। প্রশ্নপত্র নিজেদের প্রেসে ছাপানো হয়। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এরপরও যদি কেউ পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র প্রবেশের এক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুস্পষ্ট প্রমাণ দিতে পারে তবে প্রশাসন তা বিবেচনা করবে। এরপর কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম ভর্তি পরীক্ষা দুই শিফটে নিজেদের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসের বাহিরে কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
নিরাপত্তার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে এবং সব জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি সেলের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. হানিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রতিটি হলে সিট প্ল্যান থাকবে এবং উপস্থিতির তালিকায় কালার প্রিন্ট ছবি থাকবে। এসবের পাশাপাশি CU Anti Proxy App নামে একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে সিট প্ল্যান প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), কে এম নুর আহমদ, প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল্লাহ রাকীব/আরএআর/এমএস