জাবিতে ভর্তি জালিয়াতির চেষ্টা, জবি শিক্ষার্থীসহ আটক ৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভুয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে ভর্তি জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে দুইজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী।
সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা সংলগ্ন সড়কে ভুয়া প্রশ্নপত্র লেনদেনের সময় তাদেরকে আটক করে প্রশাসন।
আটককৃতরা হলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ই আতাহার মেজবাহ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সদ্যসাবেক উপ-দফতর সম্পাদক। মেজবাহ ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামবাগ এলাকার মো. নূর ইসলাম সরকারের ছেলে। অপরজন সাকিব উল সাদাত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার ধরণীবাড়ী গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।
জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য আনোয়ার হোসেন নিজেকে গাড়িচালক বলে দাবি করছেন এবং তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান।
জালিয়াতির বিষয় স্বীকার করে আটককৃতরা বলেন, আমরা কোনো প্রশ্নপত্র আনিনি। জাকির ও জিসান আমাদেরকে হাতে লেখা প্রশ্নের সাজেশন্স পাঠিয়েছে।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার মধ্যরাতে তিনজন পরীক্ষার্থীকে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের (সকাল ৯টা) প্রশ্নপত্র সরবরাহের প্রলোভন দেখান ওই দুই ব্যক্তি। প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা লেনদেনের কথা হয়। এরপর ভোর ৫টার দিকে ওই দুই ব্যক্তি পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠার মুহূর্তে মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র মাহবুবুর রহমান নীল ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই দুইজন ব্যক্তি ও গাড়ি চালককে আটক করে গণপিটুনি দেন।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জালিয়াতি চক্রের তিন জনকে আটক করেন। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে আটকে রাখা হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছি। এই চক্রটি বহুদিন থেকে অপরাধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে কয়েকটি সরকারি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে। আমরা সন্ধ্যায় তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করেছি। তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে আমাদের প্রশ্নের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।’
হাফিজুর রহমান/বিএ