ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবির ১৯টি ভবন বিপজ্জনক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাবি | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি আবাসিক ভবনের উপরতলায় বসবাস অনুপোযোগী বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীরা।

এছাড়া প্রশাসনিক ভবন, আবসিক হল, শিক্ষক আবাসিক ভবন ও কর্মচারী আবাসিক ভবনসহ আরও ১০টি পুরাতন ভবনের উপরতলার ছাদ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিন্হিত করেছে প্রকৌশলীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ সংকটে সংস্কার কাজে হাত দিতে না পারায় প্রায় দুইশ কোটি সমমূল্যের সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবন। একাডেমিক ভবনগুলোর মধ্যে প্রথম বিজ্ঞান ভবন ও রবীন্দ্র ভবন। শিক্ষক কর্মকর্তা আবাসিক ভবনের মধ্যে লাল কোয়ার্টার-৬৪নং, ৬৬নং, পূর্ব-৯, পূর্ব ৩৬, ৩৭, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, পশ্চিম-৫৪ এফ, ৫৩ এফ এবং ৫২নং ভবন। এদিকে শিক্ষার্থী আবাসিক ভবনের মধ্যে, সৈয়দ আমীর আলী হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদার বখশ হল ও শাহ মখদুম হল।

ভবনগুলোর ৫০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিন্হিত করে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউজিসির কাছে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে প্রকৌশলীরা।

প্রকৌশলীরা জানান, এই ১৯ ভবনের ঝুঁকির কারণ হলো উপরের ছাদ। নির্মাণকাল থেকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন না রাখা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ, ময়লা জমতে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে ড্যামেজড হয়ে গেছে ছাদগুলো। এরই মধ্যে ৯টি ভবনের উপর তলা ও বিভিন্ন ভবনের প্রায় ৭টি রুম বসবাস ও ক্লাস করার অনুপোযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলোর পুরো ছাদ ফেলে দিয়ে নতুন ছাদ করা প্রয়োজন। হলগুলোর ছাদে সমস্যার বিষয়ে হল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন তারা।

RU-Bhabon

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের কাজ ভবনের সংস্কার করাসহ নতুন ভবন নির্মাণ করা। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নয়। হলগুলোতে মাসে বা বছরে দুইবার উপরের ছাদ পরিষ্কার করলে এ সমস্যার তৈরি হতো না। প্রয়োজনে স্টুয়ার্ট শাখা থেকে লোকবল চাইতে পারেন। কিন্তু হল প্রশাসন এই কাজটি করে না।

এ দিকে কবে নাগাদ ভবনগুলো সংস্কার করা যাবে তা নিয়েও বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত সংস্কার না করা গেলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইউসুফ আলী জানান, আমাদের কাছে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো বরাদ্দ এসেছে। তবে এই অর্থ দিয়ে ভবনগুলো মেরামত করা সম্ভব নয়। যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫ কোটি টাকা। সংস্কার করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুইশ কোটি টাকার সম্পদ বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে।

এ দিকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ভবনগুলো পুরোপুরি নষ্ট বা অকেজো হয়ে যায়নি। এসব ভবনের উপরের ছাদগুলো ড্যামেজড হয়েছে। সংস্কার করলে আরও ১৫-২০ বছর অনায়াসে বসবাস ও একাডেমিক কাজ পরিচালনা করা যাবে।

সালমান শাকিল/এমএএস/পিআর