ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

যবিপ্রবিতে শোক দিবসের প্রস্তুতি সভায় হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:২৭ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৫

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের প্রস্তুতি সভায় হামলার অভিযোগ করেছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি, প্রক্টরের ইন্ধনে পুলিশের উপস্থিতিতে বহিরাগতরা এই হামলা করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই রাজনৈতিক ব্যানারের সভা থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মসিয়ূর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাস অস্থীতিশীল করতে ছুটির মধ্যে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাফেটারিয়ায় মিটিং করা এবং পরে নিরাপত্তারক্ষীর উপর চড়াও ও প্রক্টরিয়াল বডি সম্পর্কে কটূক্তি করায় তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ইএসটি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তানভির ফয়সলকে সাময়িক বহিষ্কার এবং  পিইএসএস বিভাগের ছাত্র আল মামুন সিমন ও মাসুদুর রহমান রনিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমাান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যবিপ্রবি ডিসিপ্লিনারি কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে তিনি জানান।

প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এমএম শামীম হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার দে, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিফাদ আল নাসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমজামাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সুমন আল হিমেল, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদুর রহমান রনি প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান সফল করতে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সভা আহ্বান করে। সেই অনুযায়ী দুপুরে প্রস্তুতি সভা চলাকালে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এসময় হামলাকারীদের সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মশিয়ুর রহমান রজু ও সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন। তাদের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলায় বিপ্লব কুমার দে, রিফাত আল নাসের, ইনজামাম, তানভীর ফয়সাল, সুমন আল হিমেলসহ অনন্ত ১০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন। সাংবাদিক সম্মেলনে আহত এসব শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানারে কর্মসূচি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশেই জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচি পালিত হবে। সেখানে ছাত্রলীগ কেন বঞ্চিত হবে?

হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে যবিপ্রবির জনসংযোগ দফতরের সহকারী পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আইনেই ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। এ কারণে রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে সভার আয়োজন থেকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিবৃত করা হয়েছে। সেখানে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।

মিলন রহমান/বিএ