ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

চীনে শিক্ষা-গবেষণার সুযোগ বাড়ছে রাবি শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বায়োসায়েন্স বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বায়োটেকনোলোজি ইনস্টিটিউট নামে একটি ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। চীনের হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ইনস্টিউটটি পরিচলিত হবে। এরই মধ্যে ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে করে চীনের চীনের হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ বাড়বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাবি উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান।

তিনি আরও জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহানের প্রতিনিধিত্বে জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বায়োলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এফ এম আলী হায়দার ও বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সিরাজগঞ্জের হেনরি ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জান্নাত আরা হেনরিসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চীনের হুয়াজং বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন। সফরকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি, ‘বায়োলোজি, উদ্যানতত্ব, ফসল সংরক্ষণ, একুয়াকালচার, পোস্ট হারভেস্ট প্রসেসিং টেকনোলজি ও কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা, যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ ও কৃষি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সম্মেলনের আয়োজন করাসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান জানান, হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জিং ডেং এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এর আগে ২০১২ সালে একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তাদের সাথে উল্লিখিত বিষয়ে গবেষণাসহ ১২ জন পিএইডি গবেষক প্রেরণের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তবে এই স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সেই সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন গবেষণার সুযোগ পাবেন তেমনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরাও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএআর/পিআর

আরও পড়ুন