গবেষকদের আসর বসছে চবিতে
বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের বিভিন্ন ধারণা বিদ্যমান। পরিবেশ, প্রকৃতি ও ভৌগলিক দৃষ্টিকোণের ভিত্তিতে দেশে দেশে উন্নয়ন হয়ে থাকে। সভ্যতার শুরু থেকেই এই উন্নয়ন চলমান। এবার দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের পুনর্ভাবনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বসছে উন্নয়ন গবেষকদের আসর।
‘রিথিংকিং ডেভেলপমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া-২০১৮’ শীর্ষক দু'দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন আগামী ৭ ও ৮ অক্টোবর চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। সমাজ বিজ্ঞান রিসার্চ ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ১৫০ জন শিক্ষক ও গবেষক অংশ নিবেন।
বৃহস্পতিবার সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সমাজ বিজ্ঞান রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এছাড়া সম্মেলনে উন্নয়ন বিতর্ক নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন দিল্লির সেন্টার ফর ডেভলপ স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক অরূপ কুমার ধর।
১৯৯৯ সালে সমাজ বিজ্ঞান রিসার্চ ইন্সটিটিউট গঠনের পর এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ বলেন, অনুষদ ভিত্তিক এমন সম্মেলন আগে হয়নি। এতে আমেরিকা, চীন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও নেপালের ২০ জন গবেষক অংশ নিবেন। এই সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন নিয়ে একাডেমিশিয়ান ও উন্নয়ন প্রফেশনালদের মধ্যে যে বিচ্ছিন্নতা তা দূর করবে। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে নেটওয়ার্কিং ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
এদিকে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ৮০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রতিদিন ৬টি করে মোট ১২টি প্যানেলে প্যারালাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের সমাপনী দিনে উন্নয়ন গবেষকদের নিয়ে দক্ষিণ এশীয় উন্নয়ন ফোরাম গঠন করা হবে। এছাড়া সমাজ বিজ্ঞান রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে ৩টি গবেষণা প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশের কথাও জানানো হয়।
আবদুল্লাহ রাকীব/এমএএস/জেআইএম