শিক্ষক কারাগারে, কালো ব্যাজে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা আইসিটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম। তাকে কারাগারে পাঠানোর পর বিভাগের সহকর্মীরা কোনো প্রতিবাদ না জানালেও ব্যতিক্রমী মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছে তার শিক্ষার্থীরা। কালো ব্যাজ ধারণ করেই দিয়েছেন স্নাতকোত্তরের শেষ পরীক্ষা।
রোববার সমাজতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ১১৭ জন শিক্ষার্থী এমন অভিনব প্রতিবাদ জানায়। এদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় স্নাতকোত্তর টার্মিনাল পরীক্ষা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালো ব্যাজ ধারণকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অন্যায় ও মিথ্যা মামলায় বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারই প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়েছে।
তিনি কোনো কটূক্তি করেননি উল্লেখ করে তারা বলেন, মূলত কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পাশে ছিলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এস.এম মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণের বিষয়টি শুনেছি। তবে দেখিনি। এ সময় তিনি ওই শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে ব্যক্তিগতভাবে বিবৃতিও দেবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলামের নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দীন আয়াজ।
এ ঘটনায় গত ৬ আগস্ট বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।
এরপর উচ্চ আদালতের আদেশে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। আট সপ্তাহ শেষে গত সোমবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালতে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/জেআইএম