চট্টগ্রাম কলেজ থমথমে
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন নিয়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে নগর ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। গত মঙ্গল ও বুধবারের সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলেজের ভেতর-বাইরে অবস্থান নিয়েছে নতুন কমিটির নেতাকর্মী ও বিরোধীরা। কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে কম। চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের যে সব শিক্ষার্থী এসেছের তারাও আতঙ্কিত।
বুধবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘের্ষ চলাকালে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সাব্বির সাদিককে শাটারগান উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনায় সাব্বিরসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘যেকোনা ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত আছে। ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ’
এর আগে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি নেওয়া নুরুল আজিম রনির অনুসারী হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৪ বছর পর এ কলেজে ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধীরা।
এর আগে ১৯৮৪ সালে সত্যজিৎ চক্রবর্তী সুজনকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল।
এনডিএস/এমএস