ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

নিজ কাঁধে পানির কেস তুলে বিতরণ করলেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গলায় ঝুলছে স্বেচ্ছাসেবকের কার্ড। কাঁধে পানির কেস। পরনের জামা-কাপড়ও দেখতে অতি সাধারণ কেউ মনে হবে। কিন্তু তিনি শাসকদলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। ঢাবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসের ডাকসু ভবনের সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের পাশে দাঁড়িয়ে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্র সংগঠনটি। গত শুক্রবারে অনুষ্ঠিত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মতো আজও ভর্তিচ্ছুদের জন্য তথ্য কেন্দ্র, সুপেয় পানি বিতরণ, কলম ও জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছিল সংগঠনটি। আর সেই কাজে ঢাবি শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন পানির বোতলের কেস।

Du.jpg

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে প্রত্যেক একাডেমিক ভবন ও প্রবেশ ধারে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র বসিয়েছে ছাত্রলীগ। এছাড়া জয় বাংলা বাইক সার্ভিস ও ১০ হাজার বোতল পানি দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও মুহসীন কলেজে যখন এ সংগঠনটিরই নেতাকর্মীরা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে ঠিক তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রমকে বাহাবা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। চট্টগ্রাম থেকেই আসা এক অভিভাবক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হ্যাঁ, ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রম অবশ্যই ভালো লাগার। আমরাও তাদের কাছ থেকে তথ্য সহায়তা নিয়েছি। ছাত্র রাজনীতি তো ছাত্রদের জন্যই হওয়া উচিত।’

বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী নির্যাতন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরসহ বিভিন্ন সংঘাতের কারণে খবরের শিরোনাম হয়ে থাকে ছাত্রলীগ। যার কারণে বিভিন্ন সভা সমাবেশে সংগঠনটির প্রতি বিরক্তিও প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগেরই শীর্ষ নেতৃরা। তবে ঢাবি ছাত্রলীগের এসব ভালো উদ্যোগ ভবিষ্যতে ছাত্র রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Du.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা আমাদের দায়িত্ব। কারণ আমরাও ছাত্র। আমরা হচ্ছি শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন। এ জন্য শিক্ষার প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের কলম দিয়েছি। আর পানি হচ্ছে একটা আর্জেন্ট নিড। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পানির প্রয়োজন হয়। তাই আমরা পানির ব্যবস্থা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। আর আমরা যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেটি যেন আমাদের আচরণ দেখে বোঝা যায়। সে জন্য আমরা আমাদের এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।’

এমএইচ/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন