জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন কোর্সের এক ছাত্রকে মাদকব্যবসা ও বিরোধী ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মারধরের পর ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আহম্মেদ উল্লাহ সাদ্দাম। অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে তাকে মারধর করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত ৯টার দিকে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে ক্লাস করে বের হলে আহমেদ উল্লাহ সাদ্দামকে বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাউসার আল আমিনসহ আরও কয়েকজন ধরে নিয়ে ঢাকা কলেজের পুকুরের পাড়ে মারধর করে।
একপর্যায়ে তিনি গাঁজা ও ফেনসিডিল নিয়ে ঘোরেন বলে স্বীকারোক্তি দিতে বলা হয়। কিন্তু স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে আরও মারধর করা হয়। তার বাসা থেকে এক লাখ টাকা এনে দিতে বলা হয় ওই ছাত্রলীগ নেতাদের। তিনি সেটাও না করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফা মারধরের পর তিনি বিএনপি করেন- এই মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা কাওসার আল আমিন বলেন, ওই রকম কোনো কিছু হয়নি। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ওই ছেলেকে পুলিশে দেয়া হয়েছে কিছু তথ্য জানার জন্য।
কী তথ্য জানার জন্য? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাকে জানাবে কেন ওকে দেয়া হয়েছে এবং কী করেছে।
শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা জাফর আলী বিশ্বাস জানান, ওই ছাত্র তাদের কাছে আছে। তার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
এমএইচ/বিএ