ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবিতে নতুন ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে চিন্তায় ভর্তিচ্ছুরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮

এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিল করে সৃজনশীল ও লিখিত পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া ঘোষণার পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ২০১৮-১৯ সেশনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। প্রশ্ন কিরূপ হবে বা কীভাবে হবে, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, গত ৬ জুলাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান এমসিকিউ পদ্ধতিতে সত্যিকার মেধা যাচাই হয় না তাই এমসিকিউ বাতিল করে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেন। উপাচার্য ওই সময় আরও জানান, প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বাছাই করে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে সেখানে ইউনিট ভিত্তিক মাত্র ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও প্রশাসনের এমন ঘোষণায় প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের মনে। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়গুলো হলো, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই পূর্বের বছরের প্রশ্নপদ্ধতি অনুযায়ী প্রস্তুতি সারছিলেন তারা। তবে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি না নিলেও তাদেরকে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। আবার নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর কথা বলায় এসএসসি ও এইচএসসি দুইটাতেই এ প্লাস বা গোল্ডেন এ প্লাস থাকলেই কেবল নির্দিষ্ট সংখ্যাটি পূরণ হবে। এপ্লাসের নিচে থাকলে কেউ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না এরকম কিছু বিষয় চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তারেদ। আবার ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকবে কি-না সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি প্রশাসন থেকে। এ কারণে যেসব শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে আবার লিখিত পরীক্ষার জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঝিনাইদহ সদরের পলাশ কুমার এক শিক্ষার্থী বলেন, এবার কি ধরনের প্রশ্ন হবে, সিলেবাস কতটুকু, কিছুই জানি না। একদিকে অনেকখানি প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে। তবে আবারও যদি নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হয় তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়াটা হয়তো মুশকিল হয়ে যাবে।

রংপুরের বদরগঞ্জ থানার রিপন খান নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, গতবারের থেকে এবার রেজাল্ট তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। এখন আবার যদি রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রাথমিক বাছাই করা হয় তাহলে ২য় বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিল করা উচিত বলে মতো প্রকাশ করেন তিনি।

রাজশাহীর বাঘার ভর্তিচ্ছু এহিয়া মাসুদ ইমন অভিযোগ করে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৬ মাস আগে লিখিত পরীক্ষার হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র কয়েকদিন আগে জানানো হয়েছে। ফলে পরীক্ষা নিয়ে এখন আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

নওগাঁ ধামইরহাটের ভর্তিচ্ছু ঝর্ণা হাসদা বলেন, মেয়ে হওয়ায় আমাকে বাড়ি থেকে দূরে পরীক্ষা দিতে যেতে দিতে চায় না পরিবার। তাই রাবিতে ভর্তি হওয়াই আমার প্রথম টার্গেট। কিন্তু এভাবে হঠাৎ লিখিত পরীক্ষার ঘোষণা আসায় বিভ্রান্তিতে পড়েছি।

তবে শিক্ষার্থীদের চিন্তার কোনো কারণ নেই জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন বলেন, পূর্বে অনুষদভিত্তিক যে ধরনের বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন করা হতো সে বিষয়গুলো থেকেই প্রশ্ন করা হবে। পূর্বে যে প্রশ্নটাতে চারটির মধ্যে একটি উত্তর দিতে হতো সেখানে উত্তরটা লিখতে হবে। সেই সঙ্গে দুই লাইনের জায়গায় ৪ লাইন লিখতে হতে পারে।

তাছাড়া নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবে এমন বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরীক্ষার সার্কুলার এখনও হয়নি। এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা পরিষদের সভায় আবারও বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে। সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে।

এমএএস/এমএস

আরও পড়ুন