শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রক্টরের বাধা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় প্রক্টর বিক্ষোভকারীদের হুমকি ও দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় পত্র কেড়ে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, নিজ বিভাগের ছাত্রীকে হুমকি ও হেনস্তার দায়ে অভিযুক্ত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের শাস্তির দাবিতে রবিবার বেলা বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে বের করে। মিছিলটি অনুষদ ভবন হয়ে ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের দিকে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দিকে গেলে সঞ্জয় কুমারপন্থী ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে বাধা প্রদান করেন। এসময় শিক্ষক সঞ্জয় কুমারপন্থী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আমরা ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে পৌঁছালে ফিন্যান্স বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান স্যার আমাদের বাধা দেন। এসময় তিনি আমাদের হুমকি দেন পাশাপাশি আমাদের ভিডিও করেন। ওই ভিডিও দেখে আমাদের শায়েস্তা করারও হুমকি দেন। পাশাপাশি প্রক্টর স্যার আমাদের বহিরাগত অস্থিতিশীলকারী আখ্যা দিয়ে দুই শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র কেড়ে নেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। বিষয়টি জেনে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, অন্য বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী ওই বিভাগে গিয়ে গিয়ে মারমুখী আচরণ করছিল তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে গতকাল (৭ জুলাই) একই দাবিতে ফিন্যান্স বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা সঞ্জয় কুমারের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে।
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকার নিজ বিভাগের ঝুমুর (ছদ্মনাম) নামে এক ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি ও মানসিক নির্যাতনের ফলে ছাত্রীটি গত ৫ জুলাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বর্তমানে তিনি পরিবারের হেফাজতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
ফেরদৌসুর রহমান সোহাগ/এমএএস/জেআইএম