তারেককে জোর করে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগ

ছাত্রলীগের হামলায় আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী তারেককে সুস্থ হওয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেক হাসপাতাল থেকে তাকে পুলিশের চাপে জোর করে ছাড়পত্র দেয়া হয় বলে দাবি তাদের।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র আমাদের না দিয়ে পুলিশকে দিয়েছে। তারা আবার আমাদের কাছে দিয়েছে। এখন আমাদের চলে যেতে হবে। পুলিশ সদস্যরা জানান, আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাদের ওপর নির্দেশ। তাই সেই অনুযায়ী কাজ করতে হচ্ছে।

এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ায় তাদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার ও সহপাঠীরা।

তার বোন ফাহেমা খাতুন জানান, ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করায় তার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আপাতত প্লাস্টার করে রাখা হয়েছে। তবে অস্ত্রোপচার না করলে তার পা স্বাভাবিক হবে না।

বর্তমানে তারেক চলাফেরা তো দূরে থাক তাকে তিন-চার জন ধরা ছাড়া নড়াচড়াও করতে পারে না। কিন্তু তা সত্ত্বেই তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

সহপাঠী ওমর জানান, পড়ালেখার খরচ ছাড়া পরিবারের পক্ষে অন্য কোনো ব্যয় বহন সম্ভব না। তাই তারেকের সহপাঠীরা ব্যয়বহন করছে।

তিনি বলেন, তারেককে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর এখন নগরীর রয়েল হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর আবারও রামেকে ভর্তি করা হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার কোটা আন্দোলনে পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করলে তারেক রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় তাকে লাঠি, রড, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতারি মারধর করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতারা।

এমএএস/জেআইএম