বেরোবি কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
কর্মচারীদের চাকরির নীতিমালা অনুমোদন, বকেয়া বেতনসহ চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি বা আপগ্রেডেশন বোর্ড গঠনসহ মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কর্মচারী ইউনিয়ন।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এর আগে গত রোববার দুপুরে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয় কর্মচারী ইউনিয়ন।
চিঠিতে উল্লেখিত দাবিসমূহ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়। সোমবার নতুন একটি দাবি যোগ করে মোট চার দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
কিন্তু নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি বাস্তবায়নে আশ্বাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, মেডিকেল সেন্টার এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা এ কর্মবিরতির বাইরে রয়েছে বলে জানান কর্মচারী নেতারা।
কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, উপাচার্য কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে আন্তরিক। তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রমোশন ও আপগ্রেডেশনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।
কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, কর্মচারীদের দাবির ব্যাপারে প্রশাসন বরাবরই উদাসীন। কর্মচারীরা যেসব দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সজীব হোসাইন/এএম/আরআইপি