শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ইবিতে উত্তেজনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আটটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করতে একটি পক্ষ সোমবার গভীর রাতে উপাচার্যের বাংলোর পাশে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এদিকে নির্বিঘ্নে নিয়োগ বোর্ড করতে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম। অপরদিকে যে কোনো মূল্যে নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করতে চায় ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান ও চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। এদুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট সকলকে পরিচয়পত্র বহন করতে বলা হয়।
জানা যায়, গত ২ মে রাতে প্রধান ফটক অবরোধ করে চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। পরে পুলিশি তৎপরতায় রাতেই তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে। তবে যে কোনো মূল্যে নিয়োগ বোর্ড বন্ধের হুমকি দেন তারা। কিন্তু পুলিশি পাহারায় গত ৩ মে ফার্মেসি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বন্ধ ও ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়াতে গভীর রাতে উপাচার্যের বাংলোর পাশে পরপর দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় একটি পক্ষ।
ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাকরি প্রত্যাশী মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় শিবিরের সঙ্গে লড়াই করেছি। এখন ক্যাম্পাসে সুদিন ফিরেছে। কিন্তু আমাদের দুর্দিন ঘোচেনি। সংসার নিয়ে দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যই প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শূণ্য পদে আমাদের নিয়োগ চাচ্ছি। কিন্তু প্রশাসন কোনোমতেই আমাদের নিয়োগ চায় না। তারা শিক্ষক নিয়োগে জামায়াত-বিএনপির সন্তানদের চাকরি দিচ্ছে টাকার বিনিময়ে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করছি মাত্র। তবে ককটেল বিস্ফোরণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, কেউ কেউ ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির তৎপরতা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/জেআইএম