রাবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
সিট বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসেনসহ আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা। তারা দুইজন হল ছাত্রলীগের কর্মী।আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, আমীর আলী হলের ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম। হাসিবকে ওই কক্ষে তুলেছিল ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন। ঈদের পরে ক্যাম্পাসে এসে ভালো কক্ষ পাওয়ায় শনিবার রাত ১১টার দিকে ইমনকে না জানিয়ে হাসিব ২১৩ তে চলে যান। এতে করে ইমন ও আমীর আলী হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল কয়েকজন কর্মী নিয়ে হাসিবকে বেদম মারধর করেন। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যায়।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইমন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি হলের গেটে পুলিশের সঙ্গে ছিলাম। সৈকত ও তার ছেলেদের হয়তো মেরেছে হলের বর্তমান সভাপতি সজলসহ তার কর্মীরা। এ বিষয়ে আর বেশি কিছু আমি জানি না।
আমীর আলী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, হাসিবের কক্ষ পরিবর্তনের সময় আমি সেখানে ছিলাম। এ সময় ইমন ও সজল নিজের কক্ষে হাসিবকে ডেকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু হাসিব আমাদের সঙ্গে থাকতে চায়। এতে করে তারা জোর করে হাসিবকে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে মারধর করে। পরে বাধা দিতে গেলে আমাকে ও মাসুদকে লাঠি ও ফুলের টব দিয়ে মারধর করে ইমন ও সজলসহ কয়েকজন। এতে করে মাসুদ গুরুতর আহত হয়। তাকে রাজশাহী মেডিকেলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আমীর আলী হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল বলেন, হাসিবকে তার কক্ষ থেকে সৈকত বের করে দেওয়ায় হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সৈকতকে মারার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির জাগো নিউজকে বলেন, হলে মারামারি ঘটনা শোনার পর রাতেই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আবারো মারামারির আশঙ্কায় হল গেটে তিন গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এসএস/পিআর