কারণ দর্শানোর নামে ছাত্রীদের হয়রানি না করার আহ্বান
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে গত ১০ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ছাত্রীদের হয়রানি না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এ আহ্বান জানান।
এসময় সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ওই দিন গুজব ছড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ‘ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু জানি না, কী অদৃশ্য কারণে রাতের বেলা যে কথা বলেছেন সকালে মাননীয় উপাচার্য এবং প্রক্টর স্যার তাদের কথা ঘুরিয়ে নিলেন। তারা বললেন- এশা নির্যাতন করেনি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এশাকে হেনস্তার অভিযোগে আরও ২৫ জন ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ ছাত্রীদেরকে আন্দোলনের কারণে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই ২৫ জনকে নোটিশ দিয়েছে। তারা নাকি অসত্য তথ্য দিয়ে, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়েছে আমি বলি তারা যদি গুজব ছড়ায় তাহলে উপাচার্য স্যার এবং প্রক্টর স্যার গুজবের মহানায়ক।’
নুর বলেন, ওই দিন রাতে ঘটনার পরপরই ঢাবি উপাচার্য এবং প্রক্টর গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে বলেছিলেন- তারা এশার নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাহলে সেদিন সত্য তথ্য উদঘাটন না করে কীসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছিলেন। নাকি কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপে বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহার করেছে। তা জাতির কাছে প্রশ্ন।
একই সঙ্গে সারাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলা পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ক্দ্রে করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নির্যাতন, হল ত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একটি অতিউৎসাহী ও কুচক্রী মহল সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এসব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাস ও সেশনজটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। কিন্তু প্রজ্ঞাপন না হওয়া পযন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলবে।
এমএইচ/এমবিআর/এমএস