প্রকাশনা জালিয়াতিতে চাকরি হারালেন জবি শিক্ষক
প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদকে অপসারণ ও ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম প্রামানিককে তিরস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদকে অপসারণ এবং নিজ বিভাগের এক ছাত্রীর আনীত যৌন হয়রানির অভিযোগে নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম প্রামানিককে তিরস্কার ও পরবর্তী পদোন্নতিতে দুই বছর পদোন্নতি বিলম্ব করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম প্রামানিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে তিরস্কার করা হয়েছে এবং পরবর্তী পদোন্নতি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দুই বছর বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি হতে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে (৯ জুলাই, ২০১৭) এ ব্যাপারে নাসির উদ্দিন আহমদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে অপসারিত শিক্ষক নাসির আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে যে প্রকাশনার দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এমন কোনো লেখা কোথাও প্রকাশিত হয়নি। আমি এর প্রতিকারে আদালতের দারস্থ হব।
তিরস্কৃত এবং শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. মো. আবদুল হালিম প্রামানিককে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানেন না জানিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএ