ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তায় ১৯ শিক্ষকের খোলা চিঠি

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জানার পর উদ্বেগ প্রকাশ ও তাদের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জন শিক্ষক।

বুধবার তারা খোলা চিঠিটি উপাচার্যের কার্যালয়ে দিয়ে আসেন। ওই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

শিক্ষকরা হলেন- এম এম আকাশ, গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা, মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা, কাজী মারুফুল ইসলাম, রোবায়েত ফেরদৌস, সায়মা আহমেদ, মুনাসির কামাল, সাজ্জাদ এইচ সিদ্দিকী, রুশাদ ফরিদী, মো. সেলিম হোসেন, হুমায়ুন কবীর, আব্দুর রাজ্জাক খান, সালমা চৌধুরী, দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন ও অতনু রাব্বানি।

চিঠিতে তারা লেখেন, এই আন্দোলনের বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত সরকারি গেজেট প্রকাশ। কিন্তু তার আগেই আন্দোলনকারীদের ওপর নানা চাপ আসছে। ভয়ভীতি কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। কবি সুফিয়া কামাল হলে ভীতি সবচেয়ে বেশি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তিন শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে চাপা উৎকণ্ঠা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে অনেক শিক্ষকই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট ঘিরে আইসিটি আইনে মামলা, ছাত্রনেতাদের ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার ইত্যাদির মাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তারা এই পরিবেশ দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান।

চিঠিতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার নিন্দা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য হলেও এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানান শিক্ষকেরা। পাশাপাশি ৮ এপ্রিলের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও পরে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণে বহিরাগতের অনুপ্রবেশ নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

চিঠিতে আবাসিক হলগুলো পরিচালনার বিষয়টি ছাত্রসংগঠনের কাছ থেকে শিক্ষক ও হলের প্রশাসনের আওতায় ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেন। ডাকসু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু রাখার জন্য তারা বিভিন্ন সংগঠন ও নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে পরিবেশ পরিষদের মতো কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন।

চিঠি নিয়ে দেখা করার সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথভাবে দেখভাল করা হবে বলে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এমবিআর/আরআইপি

আরও পড়ুন