‘উপাচার্যের বাসভবনে হামলা পূর্বপরিকল্পিত’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনেই হামলা চালানো হয়নি, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এটি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে’ আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছে শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মাকসুদ কামাল বলেন, গুজব ছড়িয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। আন্দোলনকে ধ্বংসাত্মক করতে, সরকারকে বিব্রত করতেই পূর্ব পরিকল্পিত এ হামলা।
তিনি বলেন, চাকরির নিয়োগে কোটা প্রথার সংস্কার দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন রাতে সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলতে আসেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, সোমবার সকালে বৈঠকের কথাও জানান। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় ভাঙচুর, তাণ্ডব। ঢাবি ভিসির বাসভবনে যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে, যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুর কেন? যারা তাণ্ডব, ভাঙচুর চালিয়েছে তারা আমাদের ছাত্র কিংবা আন্দোলনকারী -তা বিশ্বাস করি না। বহিরাগতরা মুখোশ পড়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা ঢাবির কেন্দ্রীয় সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুমেও হামলার চেষ্টা করেছে।
‘উপাচার্যকে হত্যার চেষ্টা’ চালানোর এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখেনি উল্লেখ করে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা চেষ্টা করেছি ছাত্রদের উপর যেন কোন ধরনের হামলা বা হয়রানি না ঘটে, বহিরাগতরা যেন ঢুকতে না পারে। কিন্তু বহিরাগতরা যখন মুখোশ পড়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা করে তখন পুলিশের সহযোগিতা জরুরি ছিল।
শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করা, সরকারকে বিব্রত করা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তির জানাই।
একই দাবিতে আগামী ১০ এপ্রিল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করা হবে। এছাড়া পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আজ (সোমবার) বিকেল ৪টায় ঢাবি শিক্ষক সমিতি জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক মো. সামাদ, অধ্যাপক আক্তার হোসেন, অধ্যাপক ইমদাদুল হক, অধ্যাপক নেজামুল হক ভূঁইয়া, জিনাত হুদা, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/আরএস/পিআর