জাবিতে বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)-তে বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের দাবি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির সমাধানের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। রোববার এক বিবৃতির মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদের ছুটির অব্যহিত পূর্বে শেষ দিনে নজিরবিহীনভাবে কর্মকর্তা হিসেবে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছনা, চাঁদাবাজি ও হামলাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমন কি প্রচলিত আইনে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা আছে।
এ ধরনের ‘বিতর্কিত’ নিয়োগ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বিবৃতিতে। এছাড়া অবিলম্বে বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবিও জানানো হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, সিনেট, ডিন, অর্থকমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে শিক্ষক প্রতিনিধি পদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক দিন পূর্বেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অজুহাতে বার বার নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিত ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন রোধ সময়ের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনের চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন- অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক মো. এনামুল হক খান, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা, অধ্যাপক মো. মজিবর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
হাফিজুর রহমান/আরএস/আরআইপি