সরকারি চাকরিতে কোটা : সংস্কারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী ৪ মার্চ সারা দেশে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সব সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে রোববার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বেলা ১১টার দিকে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ১১টা ৫৪ মিনিটের দিকে তারা সেখান থেকে সরে যান।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- শাহিদ নিলয়, জোবায়ের আহমেদ, আল মামুন ও বায়েজিদ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। মাইক কেড়ে নিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বাধ্য করা হয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা আগামী ৪ মার্চ সারা দেশে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, বইমেলা উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে কাউকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তারা আগে থেকে কোনো অনুমতিও নেয়নি। তাই তাদের মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়। তবে তাদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি। তারা নিজেরাই সরে গেছেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ অবস্থান কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
একই দাবিতে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি
• কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা হোক।
• কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে খালি থাকা পদগুলোতে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে
•কোটার জন্য কোনো ধরনেরে বিশেষ পরীক্ষা নেয়া যাবে না
•সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা হতে হবে
•চাকরির নিয়োগপরীক্ষায় কোটা সুবিধা একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
এমএইচ/এনএফ/এমএআর/পিআর