কোটা ব্যবস্থা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি
কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি শুরু করা হলেও পুলিশি বাধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়। এ সময় বক্তারা, অবিলম্বে কোটা প্রথার সংস্কার দাবি করেন। দাবি আদায়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে মানববন্ধনের ডাক দেয় সংগঠনটি।
‘কোটাপ্রথার সংস্কার চাই’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হওয়া মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা কোটার বিরোধী নয়, তবে এর সংস্কার করে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি জানাই।
আন্দোলকারীদের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব দাবিগুলো উত্থাপন করেন। দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে- কোটা সংস্কার করে সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে; কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে খালি থাকা পদগুলোতে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে; একই ব্যক্তির একই কোটার সুবিধা বারবার নিয়ে চাকরি পরিবর্তিত বন্ধ করতে হবে; একবার নির্দিষ্ট কোটা সুবিধায় চাকরি নিয়ে পুনরায় অন্য চাকরিতে যেতে চাইলে মেধার ভিত্তি যেতে হবে; প্রিলিমিনারিতে অভিন্ন কার্টমার্কের নিশ্চয়তা দিতে হবে; সমাজের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কোটা ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে; নাতিপুতি কোটা বাতিল করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতি কোটা বাতিল করাসহ কোটা সংস্কার করে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ৫৬% কোটার বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৪% রাখা হয়েছে। সেই ৪৪% আবার থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আগত মেধাবী, নারী কোটায় আগত মেধাবী, উপজাতি কোটায় আগত মেধাবী। এত কোটা দেয়া হয়েছে, যার বিপরীতে সবসময় শূন্যপদ থাকে। যেখানে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় না। এটা একটা বৈষম্য।
এদিকে সাধারণ চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা যখন কোটার সংস্কার চেয়ে মানববন্ধন করে, ঠিক তখনই পাল্টা মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রিয় কমিটি। তাদের দাবি কোটার সংরক্ষণ করতে হবে।
এমএইচ/বিএ/জেআইএম