মোটরসাইকেল ফেরত দিতে চাঁদা চাইল ছাত্রলীগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিসারের কাছ থেকে মোটরসাইকেল জিম্মি করে ওই চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পরিষদ ও পার্শ্ববর্তী বয়ড়া ইউনিয়ন চেয়্যারমানের হস্তক্ষেপে রোববার দুপুরে মোটরসাইকেলটি ফেরত দিতে বাধ্য হয় শাখা ছাত্রলীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মো. মেহেদী হাসান রাসেলের কাছ থেকে পাঁচ মিনিটের কথা বলে মোটরসাইকেলটি নেয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন ও শামীম আকরাম। রাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদীয় এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত।
পরের দিন শনিবার রাত ৮টার দিকে কামাল রঞ্জিত মার্কেটে (কে আর) মোটরসাইকেলটি ফেরত না দিয়ে রাসেলের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আকরাম।
এ সময় ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র মিলে চাঁদার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তাকে জানায়। তখন রাসেল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পরিষদ ও বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়্যারমান আব্দুল মালেকের (রাসেলের আত্মীয়) শরণাপন্ন হয়। পরে তাদের সহযোগিতায় রোববার দুপুর দেড়টার দিকে জব্বারের মোড়ে মোটরসাইকেলটি ফেরত দেয় ছাত্রলীগের ওই নেতারা।
এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই নেতারা বলেন, রাসেল আমাদেরই বড় ভাই। ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানের কারণে মোটরসাইকেলটি নিয়েছিলাম। পরে সে মোটরসাইকেলটি এক জুনিয়র নিয়ে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ ফেরত দেয়া সম্ভব হয়নি। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি প্রশ্নই আসে না বলেও তারা জানান।
অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেলকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলে তারা কেউই ফোন ধরেননি।
শাহীন/এমএএস/জেআইএম