খাবার নিয়ে নাটকীয়তা : ঢাবির ছাত্রী হলে বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯৪তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে হলগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন নিয়ে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর দিবসটিতে আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হলেও এবার মেয়েদের ৫টি হল ছাড়া ছেলেদের কোন হলেই খাবার পরিবেশন করা হয়নি।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বাজেটে এসব দিবসগুলোর ব্যয় মাথায় রেখেই বাজেট ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এদিকে রোকেয়া হলে খাবারের মান ও মেন্যু নিয়ে বিক্ষোভ করেছে হলের সাধারণ ছাত্রীরা।
সাধারণত প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুপুর বেলা হল থেকে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। কিন্তু গত বছর দিবসটিতে রোজা থাকায় ইফতারি সহকারে রাতের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের ধারণা ছিল- গত বছরের মত এবারও ইফতারসহ রাতের জন্য বিশেষ খাবার দেয়া হবে। কিন্তু ছেলেদের কোনো হলেই দিবসটিতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়নি। আর মেয়েদের ৫টি হলে ইফতার ও বিশেষ খাবার পরিবেশন করলেও রোকেয়া হলে খাবারের মান ও মেন্যু নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।
হল সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশেষ খাবার গ্রহণের জন্য মেয়েরা হল অফিস থেকে আগেভাগেই টোকেন সংগ্রহ করেন। সন্ধ্যায় ইফতার সংগ্রহ করতে গেলে রাতের খাবার না দিয়ে ছাত্রীদেরকে শুধু ইফতার পরিবেশন করা হয়। হল ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করায় সাধারণত ছাত্রীদের বড় একটি অংশ নিজ কক্ষে রান্না করে থাকেন। ছাত্রীরা ভেবেছিলেন হল থেকেই রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে। তাই তারা রান্নার প্রস্তুতি নেয়নি। এতে করে তারা মহাবিপাকে পড়ে। পরে ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা হলের হাউজ টিউটরদের বাসার সামনে ইফতার রেখে আসেন। এসময় ছাত্রীদেরকে হল গেইটে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশেষ খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শিক্ষকগণ আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণেই এ বছর বিশেষ খাবার দেয়া হয়নি। এছাড়া কয়েকটি হল দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট দিলেও বাদ পড়েছে অধিকাংশ হল। মাথার একটি ক্যাপ অথবা হলের নাম সম্বলিত একটি ফিতা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন হল কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এমএইচ/এসএইচএস/আরআই