চবিতে প্রক্টর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের একাংশের অবস্থান
আলোচিত চবি শিক্ষক আমীর উদ্দিনকে লাঞ্ছনা ও প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুরের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন ও তার অনুসারীরা।
বুধবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় থেকে তারা প্রায় ১ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে প্রক্টরের আশ্বাসে আগামী রোববার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করে। অন্যথায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাবে বলেও জানান স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন। ছাত্রলীগের এই অংশটি সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে প্রশাসনিক ভবনে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষক ও সাংবাদিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আইইআর পরিবারের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগের এই অংশটি।
মানববন্ধনে তিন দফা দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, অহেতুক নগরীর বিষয়টি চবিতে এনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে ছাত্র নামের সন্ত্রাসীরা। অচিরেই শিক্ষক অস্ত্র দিয়ে হুমকিদাতাদের আইনের আওতায় এনে বহিষ্কার, অস্ত্রের উৎস ও যোগানদাতাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা এবং হামলা, ভাঙচুরকারীদের গ্রেফতার ও বহিষ্কার করতে হবে।
এদিকে, চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জানান, গতকালের ভাঙচুরে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বরদাশত করা হবে না বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান মনি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, হাটহাজারী থানার সার্কেল এএসপি আবদুল্লাহ আল মাসুম প্রমুখ।
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/জেআইএম