ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

নীল দলের সাধারণ সভায় শিক্ষকদের হাতাহাতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নীল দলের সাধারণ সভায় ফের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নিজেরা। পণ্ড হয়ে যায় নীল দলের সাধারণ সভাটিও। এক পর্যায়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সংগঠনটির সাধারণ সভা শেষ করেন আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় নীল দলের সাধারণ সভা শুরু হয়। সভায় এক শিক্ষকের বক্তব্যের সময় অন্য একজন শিক্ষকের তীর্যক মন্তব্য নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

সভাসূত্রে জানা গেছে, সভার এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখছিলেন। এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম সাবেক উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে অভিযোগ এনে উচ্চ বাক্যালাপ করেন। এতে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। উভয়ই উভয়ের ধারা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।

ঘটনার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আমি যখন বক্তব্য রাখছিলাম তখন আ ক ম জামাল উদ্দিন বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করছিলেন। আমি এর প্রতিবাদ জানালে তিনি আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং ঘুষি মারেন। এক পর্যায়ে সহকর্মীরা তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। তারপরও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

তবে প্রক্টরের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সমালোচনা করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং আরেফিন সিদ্দিকের সময়ের সকল কার্যক্রমের শ্বেতপত্র প্রদানের দাবি করেন। তাই আমি তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যাপক রব্বানী আমার দিকে তেড়ে এসে আমাকে আঘাত করেন।

এ বিষয়ে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল আজিজ বলেন, আমার জীবনেও শিক্ষকদের সভায় এ ধরনের ঘটনা দেখিনি। আমি শকড। আমি এ ধরনের পরিস্থিতি দেখতে চাইনি। যদিও এ ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি।

এর আগে চলতি বছরের ৭ মে সিনেট নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অনুষ্ঠিত নীল দলের সাধারণ সভাটিও শিক্ষকদের দুই গ্রুপের হট্টগোল ও হাতাহাতিতে পণ্ড হয়ে যায়।

এমএইচ/বিএ