চাকসুর খাবারের দাম নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চাকসু ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম ও মান বৃদ্ধি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। এ দাম বৃদ্ধিকে বামপন্থী দলগুলো অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যা দিলেও, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে নানা সমস্যার বিষয়গুলোতে সব সংগঠনগুলো প্রায় একই সুরেই কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার চাকসু ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র, সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোরশেদ রিপন ও চাকসু পরিচালক সাহিদ বিন সাদিক।
সম্প্রতি চাকসুতে অতিরিক্ত ভর্তুকি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় খাবারের দাম বাড়ানো হয়। তবে এতে কিছুটা মান বাড়লেও এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হতে থাকে। এর প্রেক্ষিতেই বিষয়টি নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এদিকে মতবিনিময় সভায় চবি ছাত্রলীগ স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু খাবার দাম ও মান বৃদ্ধিকে সাধুবাদ জানান এবং এটি যাতে অটুট থাকে সেটিও উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংকটের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তরী বাস পূর্বে শহীদ মিনার পর্যন্ত আসত, কিন্তু এখন ১নং গেটেই নামিয়ে দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে। এটি দ্রুত লাঘব করা প্রয়োজন বলেও জানান।
স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন চাকসু খাবারের মান বৃদ্ধি যাতে অব্যাহত থাকে সে দাবি জানান। এছাড়া যারা অযৌক্তিক দাবিতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে মাদকের ভয়াবহতা ঠেকানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, দাম বৃদ্ধির আগে উচিত ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নেয়া। দাম অবশ্যই সহনশীল করতে হবে। দরকার হলে বিশ্ববিদ্যালয়কেই ভর্তুকি দিতে হবে। তবে চাকসুর খাবারের মান বৃদ্ধি যদি অব্যাহত থাকে সেক্ষেত্রে তারা 'পরোক্ষ' ভাবে সেটিকে সমর্থন জানাবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাবি বলেন, সব ক্ষেত্রে ট্যাক্স বাড়লে ভর্তুকি কেন বাড়বে না। ভিসি গাড়ী বাবদ ৯ লক্ষ টাকা খরচ করে কিন্তু আমাদের খাবারের মান বাড়ে না।
এসময় ইসলামী ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র সেনার নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তাদের মতামত জানায়।
আবদুল্লাহ রাকীব/এফএ/এমএস