ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হবে বেরোবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৬:০৫ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সকল সংকট কাটিয়ে উঠে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নেওয়াই হবে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

বৃহস্পতিবার রাতে বেরোবির নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

এসময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, পথচলা সব সময় মসৃণ হবে না। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে সরকারের সহায়তায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এইচ এম আশিকুর রহমান বলেন, বেগম রোকেয়ার জন্মস্থানের আলো, বাতাস, মাটিতে দাঁড়িয়ে আছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য অনেক বড়। বেগম রোকেয়া যেমন সকল অন্ধকারের প্রতিরোধ ভেঙে জ্ঞানের বাতি জ্বালিয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ও তেমনি উত্তরবঙ্গের অন্ধকার ঘোচাবে।

BRUR1

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, বেরোবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ফেরদৌস রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. তাজুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ ও বেরোবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের কথা হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানামুখী আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হলেও আমাদের অর্জনও কম নয়।

বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে থাকা সেশনজট, শিক্ষক সংকট, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত গবেষণার ব্যবস্থা, আবাসন সংকট, পরিবহন সংকট, পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করলে অবশ্যই এ বিশ্ববিদ্যালয় সব বিষয়ে এ দেশের নেতৃত্ব দেবে।

প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিনটিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছিল নানা আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখেন।

সজীব হোসাইন/এফএ/এমএস