ইবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ১৫ অক্টোবর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে এবার ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং চালু করেছে প্রশাসন। চারটি ভুল উত্তরের জন্য পরীক্ষার্থীর এক মার্ক কেটে নেয়া হবে। এছাড়াও ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধি, উপজাতি কোটা বৃদ্ধি, নতুন বিভাগসমূহের ইউনিট বণ্টনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৮টি ইউনিটের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে অনুষদীয় ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিদের নিয়ে সভা করে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।
সভায় আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তর প্রদানকারীর জন্য নেগেটিভ মার্ক চালু করা হয়েছে। চারটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে এক মার্ক কাটা হবে ভর্তিচ্ছুর।
এদিকে ভর্তি আবেদন ফরমের মূল্য ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৫ টি উপজাতি কোটা বৃদ্ধি করে ১৫টি কোটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ছয়টি বিভাগে ৫টি করে মোট ৩০টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আটটি বিভাগকে ভর্তি পরীক্ষার সময় বিভিন্ন ইউনিটে যোগ করা হয়েছে। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত সোস্যাল ওয়েলফেয়ার এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগকে ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত হিউমেন রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগকে ‘জি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রশাসন।
‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ফার্মেসি বিভাগ এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগ। একই অনুষদভুক্ত বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে দেয়া হয়েছে ‘ই’ ইউনিটে। এছাড়া আইন ও শরীয়াহ অনুষদভুক্ত আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগকে ‘এইচ’ ইউনিটের অধীনে দেয়া হয়েছে।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছি। যোগ্যতা প্রমাণের জন্যই মাইনাস মার্কিং চালু করেছি।
ফেরদাইসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/জেআইএম