বাকৃবির ৪ কার্যালয়ে তালা দিল অফিসার পরিষদ
‘জাতীয় বেতন স্কেল’ ২০১৫ বাস্তবায়ন ও পদোন্নয়নের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশাসনিক ভবন, কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও প্রোজেক্ট অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় অফিসার পরিষদ।
রোববার সকাল ৯টার দিকে তারা একযোগে এসব কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সমমান, অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার ও সমমান এবং বিভাগীয় প্রধানদের পদোন্নয়ন জাতীয় বেতন স্কেল’ ২০১৫ অনুযায়ী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন করছে বাকৃবি অফিসার পরিষদ।
একই দাবিতে তারা ঈদুল আজহার আগেও আন্দোলন করে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার সকালে ওই চার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় অফিসার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অফিসারদের পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য সিড সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড.মো. আবুল হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি রোববার সকালে ভিসি বরাবর তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর কমিটির ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে অফিসারদের অবগত করেন। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই কমিটি ‘জাতীয় বেতন স্কেল’ ২০১৫ অনুযায়ী অফিসারদের যৌক্তিক বেশ কিছু আন্দোলনের পক্ষে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু অফিসার পরিষদ তাদের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে কিংবা ভিসি ও প্রো-ভিসির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার দাবি করেন। একই সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অফিসার পরিষদের সভাপতি আরিফ জাহাঙ্গীর।
জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশকৃত বিষয়গুলো ভিসি ব্যতিত অন্যদের জানার সুযোগ নেই। এছাড়া তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাস করাতে হবে। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরও তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদন সম্পর্কে ওই কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, তারা (অফিসার) রিপোর্ট প্রদানের যে দাবি জানিয়েছিল সেটি পূরণ হয়েছে। তারপরও সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন করেছে।
মো. শাহীন সরদার/এএম/জেআইএম