ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

দ্বিতীয় দিনের মতো জাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৬:২৫ এএম, ০১ আগস্ট ২০১৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ‘প্রতিবাদের নাম জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনকি ভবন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যরা ও উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করলেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। আগামী ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার আবার পুনরায় আলোচনার জন্য তারা বসবেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, চার দফা দাবিতে তারা পূর্বঘোষিত প্রশাসনিক ভবন লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তাদের চারদফা দাবির মধ্যে রয়েছ-, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অবৈধ তদন্ত কমিটি বাতিল, পুলিশি হামলার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবির বাস্তবায়ন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন বলেন, আমরা প্রশাসনকে আমাদের চারদফা দাবির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

ju

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রায় ছয় ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন জাবি শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

এ ঘটনায় ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে সেখান থেকে সম্মানজনকভাবে মামলা প্রত্যাহার করার কথা বলে তাদের সে সময় অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় আন্দোলতরত শিক্ষার্থীরা সাতদিনের সময় বেঁধে দেন মামলা প্রত্যাহারের জন্য। পরে এ সমেয় মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ৩০ জুলাই থেকে পুনরায় আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

হাফিজুর রহমান/আরএআর/পিআর