ঢাবি সিনেট অধিবেশন : শিক্ষার্থী-শিক্ষক ধাক্কাধাক্কি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য আহূত বিশেষ অধিবেশনে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের উদ্যোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেটের এ অধিবেশনকে অবৈধ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। তারা উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি তোলেন।
এরই জের ধরে সিনেট অধিবেশন চলাকালীন রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের মূল ফটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় গেইটে তালা লাগানো থাকায় শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে চান। কিন্তু সেখানে থাকা শিক্ষকরা তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
বাইরে থেকে কতিপয় ‘সন্ত্রাসী’ ভাড়া করেছে বিশ্ববিদ্যালয় এমন দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর-এর শিক্ষক কাজী ফারুক হোসেন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং জবি নীল দলের নেতা। বিক্ষোভের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের লাথি মারেন। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ জাগো নিউজকে বলেন, তাদের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা না করে গেইটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে সেখানে থাকা শিক্ষকরা তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর উপাচার্য অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে।
তবে জবি শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষার্থীদের তাড়া করার বিষয়ে তিনি বলেন, সে আমাদের সাবেক ছাত্র। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে ওন করে সে এটি করেছে হয়ত।
শিক্ষকরা থাকতেও সাবেকদের কেউ বর্তমান শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দেয়ার অধিকার রাখেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি আমাদের এখানেও টিচার হওয়ার চেষ্টা করছেন। এখনও হয়নি। তবে শিগগিরই হয়ে যাবেন।
এমএইচ/বিএ/এমএস