৫ বছর পর চালু হতে যাচ্ছে বেরোবির দুই ডরমেটরি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমেটরি ভবন নির্মাণের নির্দিষ্ট সময়ের পাঁচ বছর পর তা চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সদ্য চালুকৃত এ দুইটি ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ২০টি পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে বলে প্রশাসন সূত্র জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বেরোবি শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমেটরি বরাদ্ধ কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ডরমেটরি বরাদ্ধ কমিটির সভায় চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের পৃথক দুইটি ডরমেটরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দফতর সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের প্রথম পর্যায়ে ছিল শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের আবাসন সুবিধায় চারটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণ। এ কাজের সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এরমধ্যে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের পৃথক দুইটি ডরমেটরির বরাদ্ধ দেওয়া হয় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে।
বাকি দুইটি শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের ডরমেটরি ভবনের কাজের সময়কাল দুই মেয়াদে বৃদ্ধি করা হয়। যার নির্মাণ সময়কাল ছিল ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত ওই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি বলে জানান প্রকৌশল দফতর।
জানা গেছে, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীর সময় একাধিকবার শিক্ষক-কর্মকর্তারা ডরমেটরি চালুর দাবি জানালেও ওই প্রশাসন কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। এতে যেমন শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় একইসাথে নির্দিষ্ট সময়ে ডরমেটরি বরাদ্দ না দেওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জাগো নিউজকে জানান, সাবেক উপাচার্যের চরম উদাসীনতার কারণে আবাসিক সুবিধা বঞ্চিত ছিল শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তবে নতুন উপাচার্যের ডরমেটরি চালুর মাধ্যমে আবাসন সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমেটরি বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর বলেন, ডরমেটরি চালু হলে ২০টি পরিবার আবাসিক সুবিধা পাবে। ইতোমধ্যে ডরমেটরি বসবাস উপযোগী করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সজীব হোসাইন/এফএ/এমএস