প্রক্টর জানেন, পুলিশ জানে না জবি ছাত্রের সন্ধান
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া যাওয়ার নয়দিন পার হলেও এখনও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের (২০১৩-১৪ সেশনের) ছাত্র সাদেকুল ইসলাম মিলনের কোনো সন্ধান দিতে পারছে না পুলিশ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এ বিষয়টি স্পষ্ট করছে না প্রশাসন।
গত ২৩ মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানার ৫নং রোডের ৭নং বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মিলনকে। ওইদিনই আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আদাবর থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, আমি র্যা ব অফিস, ডিবি অফিস সব জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছি। কোথাও তথ্য পাইনি। আমার জায়গা থেকে যত উপরে ওঠা যায় গিয়েছি। কিন্তু কোথাও কোনো তথ্য পাচ্ছি না।
তবে জবির প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, আমরা তার সন্ধান পেয়েছি। সে পুলিশ কাস্টডিতে আছে ও ভালো আছে। আমরা তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
এ তথ্য কার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন জানতে চাইলে স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি জবির প্রক্টর। তিনি শুধু বলেন, আমরা জানি, আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
একই তথ্য মিলনের পরিবারকে জানানো হয়েছে বলে জানান তার বোনের ছেলে আল আমিন। আল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান তাদের ফোনে জানিয়েছেন তার মামাকে পাওয়া গেছে। তিনি মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে আছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারিনি আমরা।
এ প্রসঙ্গে মিলনের বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পরিমল বালা জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছাত্রদের মুখে শুনেছি মিলনকে পাওয়া গেছে। কিন্তু আমি কাউকে ফোনে জানাইনি। আমিও প্রশাসনিকভাবেও কোনো তথ্য পাইনি।
এদিকে, জবি ছাত্র মিলন নিখোঁজের এ ঘটনা ও সংশ্লিষ্টদের অসংলগ্ন বক্তব্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। তারা জানান, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় মিলনের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের কাছে প্রথমে এক লাখ টাকা, কয়েক ঘণ্টা পর ৬০ হাজার এবং সর্বশেষ ৩১ মে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এতে সন্তানের খবর না পেয়ে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে বিছানায় পড়েছেন তার মা।
শিক্ষার্থীদের দাবি মিলন নিখোঁজের ঘটনার দ্রুত সুরাহা হোক। এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, যদি কোনো বড় ক্ষতি হয়ে যায় তবে সে দায়িত্ব কে নেবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এভাবে নিখোঁজ থাকলে তা সব শিক্ষার্থীর জন্য অশনি সংকেত। তিনি দ্রুত বিষয়টি খোলাসা করার দাবি জানান।
এসএম/এসআর/পিআর