ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

পাবিপ্রবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণা কর্ম জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন-পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন এবং একই বিভাগের প্রভাষক টি এইচ এম সুমন রশিদ। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন ও একই বিভাগের প্রভাষক টি এইচ এম সুমন রশিদ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে “গ্লোব ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানী” এর সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের একটি গবেষণাকর্ম (যা ‘একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে পঠিত হয়েছিল) প্রায় হুবহু নকল করে নিজেদের নামে “গ্লোবাল জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি” নামক আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসল গবেষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন উভয় লেখার কপি সংযুক্ত করে মোতাহার হোসেন ও সুমন রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পাবিপ্রবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরীর কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, এমন জালিয়াতির মাধ্যমে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও একজন প্রভাষক পুরো শিক্ষক সমাজের মুখে কালিমা লেপন করেছেন। এই অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে শিক্ষকরা আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক টি এইচ এম সুমন রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন। অন্য শিক্ষক মোতাহার হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নামে কেউ লেখাটি পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। শোকজ নোটিশ এখনও পাইনি। তবে অফিস কলিগ ও লোকমুখে শো-কজের কথা শুনেছেন বলে স্বীকার করেন।

পাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী গবেষণা কর্ম জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়ার  সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্তদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।