ঢাবিতে হলের সিট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলসমূহে মেধাতালিকা অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না নবনির্মিত সুফিয়া কামাল হলে। নবনির্মিত এই হলটিতে ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্রীকে হলে উঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া ছাত্রলীগের কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করতে বৈধ শিক্ষার্থীদেরও হলছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানায়, গত ১ এপ্রিল মেধাতালিকার ভিত্তিতে ৭ জন ছাত্রীকে আসন বরাদ্দ দেয় হল প্রশাসন। এর এক সপ্তাহ পর হল অফিস থেকে তাদের সিট ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। হল ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা তাদের দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে হলের প্রভোস্ট দাবি করেন, এসব ছাত্রীদের আসন বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি ওয়াকিফহাল ছিলেন না। তাই তাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের আবাসিক শিক্ষকরাই আসন বরাদ্দ দিয়েছে।
জানা গেছে, হলের গণরুমগুলোতে অবৈধ উপায়ে থাকা পলিটিক্যাল ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের সিটের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ছাত্রলীগের মাধ্যমে হলে উঠা ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনশ ছাড়িয়ে গেছে। এরপরও প্রতি সপ্তাহে প্রায় দশ থেকে পনের জন করে ছাত্রী হলে উঠাচ্ছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রী হল সমূহে ছাত্রলীগের জন্য আলাদা করে কিছু রুম রাখা হয়। সেগুলোকে তারা গণরুম হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদের হলে (কবি সুফিয়া কামাল হল) প্রতিটি রুমে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ। হল প্রশাসন যেন ছাত্রলীগের কাছে অসহায়।"
জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার জাগো নিউজকে জানান, "২০৭ নম্বর রুমটিতে আমাদের (ছাত্রলীগ) মেয়েদেরকে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হলের একজন হাউজ টিউটর (শোভা) প্রভোস্টের অনুমতি ব্যতীত ঐ রুমটিতে ৭ জন মেয়েকে সিট বরাদ্দ দেয়। পরবর্তীতে আমরা প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ওদের সিট থেকে নামিয়ে আমাদের মেয়েদের সিটে উঠতে নির্দেশ দেন।"
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক নীলুফার বানু বলেন, "আমাদের সিট খালি হওয়ার পর আমরা সিট বরাদ্দ দেয়ার জন্য আবেদন পত্র সংগ্রহ করি। সেখানে আমরা মেরিট লিস্ট অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কয়েকজন হাউজ টিউটর মেরিট লিস্ট বিবেচনা না করে ঐ ছাত্রীদের হলে সিট বরাদ্দ দেয়। পরবর্তীতে আমি জনার পর তাদের সিটগুলো ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর তারা উপাচার্যের কাছে গিলে, তার নির্দেশে তাদের গণরুমে থাকতে দেয়া হয়।"
এমএইচ/আরএস/আরআই