ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ডিজিটাল ক্যাম্পাস হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৪:২৩ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৫

ডিজিটাল ক্যাম্পাস হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আধুনিক ও ডিজিটাল বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসকে প্রযুক্তির আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবং তরুণ শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্রদ্ধতির এক ধাপ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে জবির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলছে পুরোদমে।

১৮৫৮ সালে ব্রজসুন্দর মিত্র, অনাথবন্ধু মৌলিক, পার্বতী চরণ রায় ও দীননাথ সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন। প্রথমে এ প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় ‘ব্রাহ্ম স্কুল’। দেড়’শ বছর পার হওয়ার পর ২০০৫ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। দেড়’শ বছরের ঐতিহ্যের পুরানো এই বিদ্যাপীঠটি বৃহত্তর অঙ্গনে জ্ঞান বিতরণ করেই চলেছে।

এ বিদ্যাপীঠ থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন অনেক গুণীজন। এর মধ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান, গায়ক হায়দার হোসেন, ফকির আলমগীর, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, জাহিদ হাসান, সাহিত্যিক ও সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, রাজনীতিবিদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ফজলুর রহমান বাবু বর্তমান সমাজের আলোকিত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল সুবিধা সম্বলিত হয়ে উন্নয়নের একধাপ এগিয়ে চলেছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা এবং ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথমবারের মতো প্রশ্নপত্রে ডিজিটাল প্রদ্ধতি অনুসরণ করা শুরু হয়। এখানে অনেকগুলো সেটের মাধ্যমে এ পরীক্ষা নেয়া হয়। পরবর্তীতে জবির ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুসরণ করে। ক্যাম্পাসের সব স্থানকেই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে চালু করা হয়েছে ‘ই-লাইব্রেরি’। ই-লাইব্রেরি চালু হওয়ার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্বের খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার ২৪ হাজার বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরবর্তী বাজেটে আরো বেশি বরাদ্দ রাখা হবে বলে জানিছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জবি সূত্র আরও জানায়, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে শিগগিরই লাইব্রেরি ব্যবহারের সময় বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এজন্য ক্লাস ছুটির পরেও শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হবে। ক্যাম্পাস সম্প্রসারণে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শুভ সূচনা করা হয়েছে।

নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বিপরীতে প্রায় সাড়ে ১০ বিঘা জায়গার ওপর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মিত হবে। এখানে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত আবাসিক হলসহ একাধিক ভবন নির্মাণ করা হবে। অত্যাধুনিক এই ছাত্র হলের নাম রাখা হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমবায় ব্যাংকের জায়গাটি আইনগভাবে গ্রহণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। জায়গাটি পেলে এখানেই করা হবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত জবির টিএসসি চত্বর। এছাড়া ক্যাম্পাস দুটিতে যাতায়াতের জন্য থাকবে পর্যাপ্ত দ্বিতল বাস।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মান উন্নয়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে ই-লাইব্রেরি প্রদ্ধতি চালু করেছি। নিরাপত্তার জন্য ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি ক্যামেরা) এবং শিক্ষার্থীদের ই-সেবা নিশ্চিত করতে পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মধ্যে আনা হয়েছে। আশা করি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিএ/এমএস