রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরব ভূমিকার কড়া সমালোচনা
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নীরব দর্শকের ভূমিকা থাকায় বিশ্ব সম্প্রদায় ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের কড়া সমলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, শান্তি রক্ষার জন্য নোবেল দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ীরা বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন অথচ সাগরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা আটকে আছে, এখন শান্তিতে নোবেল বিজয়ীরা নীরব কেন? নোবেল পাওয়া লোকগুলো যখন সংকটে এগিয়ে আসেন না তখন দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই থাকে না।
বুধবার দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দেশে-বিদেশে চলতে থাকা সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মৌন মিছিল-পূর্ব এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিয়ানমারের নারী নেত্রী অং সান সু চির সমালোচনা করে তিনি বলেন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া একজন মানুষ কীভাবে তার দেশের গণহত্যার নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডে চুপ থাকতে পারেন। এভাবে ঘটতে থাকলে এক সময় মানুষ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।
উপ-উপাচার্য বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতন মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ ধরনের হামলায় অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। দেশে-বিদেশে যেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়, দিনাজপুরে সাঁওতাল ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এ মৌন মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্র এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ।
ড. ফাজরীন হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. কাজী নুরুল ইসলাম, বর্তমান চেয়ারম্যান ড. ফাদার তপন ডি রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমএইচ/আরএস/এমএস