ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

যোগাযোগের উন্নতি ছাড়া সমাজ এগিয়ে যাবে না : সায়মা ওয়াজেদ

প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৬

বিশিষ্ট শিশু মনস্তত্ত্ববিদ ও অটিজম বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেছেন, যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যোগাযোগ বৈকল্য বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা না হলে মানুষ ও সমাজের উন্নতি হবে না। যোগাযোগের উন্নতি না হলে সমাজ, দেশ এগিয়ে যাবে না।

বুধবার ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-প্রতিষ্ঠিত যোগাযোগ বৈকল্য (কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস) বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান করেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন প্রফেসনাল মাস্টার্সের ছাত্র সৈয়দ মাহবুব হামিল ও প্রথম বর্ষ অনার্সের ছাত্রী হুমায়রা আনজুম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন।

সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ব্যক্তি মানুষের এই সমস্যা পরিবার সমাজকে প্রভাবিত করে, তাই এই যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, তোতলানো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা নয়, মানুষের ভুল বোঝার জন্য এ ধরনের ধারণা হয়, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন। উন্নত সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি নব-প্রতিষ্ঠিত যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

Putul

ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এই বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শত ব্যস্ততার মধ্যেও উপস্থিত থাকার জন্য প্রধান অতিথিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আজ এক ঐতিহাসিক স্থানে আমরা এই অনুষ্ঠান করছি, যে স্থান থেকে জাতির জনক স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মানসিক সমস্যা সমাধানে শারীরিক শিক্ষার সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এমএইচ/এমএমজেড/এমএস