চারুকলায় ফ্যাসিস্টের মোটিফে আগুন ‘রহস্যজনক’, সিসি ফুটেজ ধরে তদন্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন লাগার ঘটনা রহস্যজনক বলছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ বলছে, আশপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ডিভিআর সংগ্রহের কাজ চলছে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ৫টা ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন:
আগুনের সূত্রপাত জানতে চাইলে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা জানান, নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য অনেকগুলো মোটিভ সেখানে রয়েছে। এর মধ্যে কেন শুধু দুটি মোটিফে আগুন লেগেছে, সেটি রহস্যজনক।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে জানান, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। আশপাশের অনেককে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল ও আশপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরার ডিভিআর সংগ্রহের কাজ চলছে। ডিভিআরগুলো থেকে ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।
এদিকে, আজ সকালে চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোটিফ হলো কোনো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বা ধারণা যা একটি গল্পকে কেন্দ্র করে পুনরাবৃত্তি হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয় ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে।
টিটি/এসএনআর/এমএস
বিজ্ঞাপন