বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
৫ বছর ধরে অকেজো ৭৫ লাখ টাকার কম্পিউটার ল্যাব
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিজনেস অনুষদে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি কম্পিউটার ল্যাব পাঁচ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে ল্যাবের প্রায় সব সরঞ্জাম। ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসছে না ল্যাবটি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদকে ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক মতিউর রহমানের হাত ধরেই ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেসময় ল্যাবটি দেখার জন্য আলাদা করে জনবল রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের পরবর্তী সময়ে কম্পিউটার ল্যাবের জন্য আলাদা করে জনবল রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে অকেজো হতে থাকে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
তৎকালীন বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার সময়ে ল্যাবটি ঠিকই চলছিল। কিন্তু আমি যখন ডিনের দায়িত্ব ছাড়লাম, তখন থেকে (ল্যাবের) জনবলগুলো ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গায় পদায়ন করা হয়। একপর্যায়ে ল্যাবটি আনইউজড (অব্যবহৃত) থেকে গেলো।’
এ বিষয়ে বিজনেস অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ফেরদৌস রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ল্যাবের কম্পিউটারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে ল্যাবটি চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুর আলম সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় ল্যাবটি বর্তমানে অকেজো। এতে প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার বেলাল জাগো নিউজকে বলেন, কম্পিউটার ল্যাবটি মেরামত করতে চার লাখ ১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। বিষয়টি জানিয়ে রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রেজিস্ট্রার হারুন অর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, আমার কাছে কম্পিউটার ল্যাব সম্পর্কিত একটি চিঠি এসেছে। সেটি প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী জাগো নিউজকে বলেন, কম্পিউটার ল্যাবটির বিষয়ে যথাযথভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।
ফারহান সাদিক সাজু/এসআর/এমএস