সাংবাদিককে মারধর, সেই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
তবে এ রকম অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার পরও তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাবিতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়। এর আগে একই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কৃত অপর ছাত্রলীগ নেতা তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননের বহিষ্কারাদেশও গত বছরের নভেম্বরে প্রত্যাহার করা হয়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়ের নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হল।
এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শিহাবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নানা অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত হওয়ার অভিযোগে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল তাদেরই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে আবার দলে ঠাঁই দিচ্ছে ছাত্রলীগ। এ ধরনের ঘটনা ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটিকে কলঙ্কিত করছে। সেইসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে তারা এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমকে বৈধতা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
পরে কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা বলেন, তিনি আর কোনো বিশৃঙ্খল কাজে জড়িত হবেন না বলে অনেক আগেই আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সে দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত আর কোনো কাজ করবে না বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় এর আগে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আবেদনটি বিবেচনাধীন রেখেছিল। এবার সে নিজে আবেদন করায় প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাস ভাঙচুরের ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মারধরের শিকার হন ডেইলি স্টারের রাবি প্রতিনিধি আরাফাত রহমান।
এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক মারধরের দায়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননকে বহিষ্কার করা হয়।
রাশেদ রিন্টু/এএম/আইআই