লুঙ্গি সমাচার সিনেমার সংলাপ
লুঙ্গি সমাচার সিনেমার সংলাপ
লুঙ্গি সমাচার সিনেমার শুটিং চলছে-
চৌধুরী : তোর মতো লুঙ্গি পরা ছেলের কাছে আমার মেয়ে বিয়ে দেব না।
আবুল : আপনে নিজেও তো লুঙ্গি পরছেন চৌধুরী সাহেব।
চৌধুরী : আমার লুঙ্গি বেনারসি শাড়ির কাপড় দিয়ে বানানো দামি লুঙ্গি।
আবুল : চৌধুরী সাহেব, বেনারসি লুঙ্গি নিয়ে অহংকার করবেন না, বাতাস এলে লুঙ্গি সামলাতে পারবেন না।
চৌধুরী : মুখ সামলে কথা বল।
এমন সময় চৌধুরী সাহেবের একমাত্র মেয়ে প্রিয়া দৌড়ে আসে।
প্রিয়া : বাবা, আমি লুঙ্গি পরা আবুলকেই বিয়ে করবো। তোমার বন্ধুর ছেলে ‘হাফপ্যান্ট মাসুদ’কে বিয়ে করবো না।
চৌধুরী : এই লুঙ্গি পরা আবুলকে পছন্দ করে তুই আমার বংশের মুখে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা লাগিয়ে দিলি।
এরপর আবুল প্রিয়ার হাত ধরে চৌধুরী সাহেবের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছে। এমন সময় চৌধুরী সাহেব তাদের আটকানোর জন্য দৌড়ে আসলেন; তখনই এক ঝড়ো বাতাস এসে চৌধুরী সাহেবের লুঙ্গি উড়িয়ে নিয়ে গেল। বাতাসকে উদ্দেশ্য করে চৌধুরী সাহেব তখন গান ধরলেন- ‘পাগলা হাওয়ার তরে, লুঙ্গি আমার উড়ু উড়ু করে। ওরে ওরে হাওয়া থাম না রে, লুঙ্গি আমার উড়ে গেলো রে।’
****
আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিলাম
লাল্টু পোস্ট অফিসে গিয়ে পোস্ট মাস্টারকে-
লাল্টু : বিশ পয়সার নয়টি টিকিট, পঁচিশ পয়সার তিনটা টিকিট এবং চল্লিশ পয়সার একটি টিকিট নিলে মোট কত টাকা লাগবে?
পোস্ট মাস্টার সবগুলো টিকিট লাল্টুর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে-
পোস্ট মাস্টার : মোট হয়েছে দু’টাকা পঁচানব্বই পয়সা। এই নাও তোমার টিকিট।
লাল্টু : টিকিট লাগবে না।
পোস্ট মাস্টার : তাহলে টিকিটের দাম জিজ্ঞেস করলে কেন?
লাল্টু : স্কুলে স্যার আজ এই অঙ্কটা করে আনতে বলেছিলেন। পারছিলাম না তো, তাই আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিলাম।
****
দামাদামি করলি কেন
বল্টু : এই শার্টটার দাম কত?
দোকানদার : ৭০০ টাকা।
বল্টু : ২০০ টাকা হবে ভাই?
দোকানদার : কী যে বলেন, না এতে হবে না।
বল্টু : তাহলে ২২০ টাকা রাখবেন?
দোকানদার : না, একদাম ৫০০ টাকায় নিবেন?
বল্টু : না, আমি ৩০০ দিবো।
দোকানদার : শেষ দাম ৪০০ হলে নিয়ে যান।
বল্টু : না ভাই, শেষ দাম ৩৫০ হলে বলেন, নাইলে আমি যাই।
দোকানদার : আচ্ছা নিয়া যান।
বল্টু শার্ট হাতে নিয়ে দিলো এক দৌড়-
দোকানদার : কিরে, শার্ট যখন চুরিই করবি তাহলে এতক্ষণ দামাদামি করলি কেন?
বল্টু : আরে, দামাদামি না করলে তোমার ৭০০ টাকা লস হত, এখন ৩৫০ টাকা লস হইছে।
এসইউ/আরআইপি