ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জোকস

সপ্তাহের রসালাপ: ভালোবাসার বিড়ম্বনা

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১

 

তানজিনুর সাফি ইথুন

মফিজ নতুন চাকরি পেয়েছেন। তার পোস্টিং হয়েছে রাজশাহীতে। সামনে মাসেই জয়েনিং। আজ মাসের ২০ তারিখ। এরমধ্যে সঙ্গে নিতে হবে স্ত্রীকেও।

একা হলে এক কথা ছিল। সঙ্গে পরিবার নিতে হলে বাসাও খুঁজতে হবে এখনই। হাতে সময় নেই একদমই। বিভিন্ন কাজে সময় চলে যাচ্ছে।

এই অল্প সময়ের মধ্যে বাসা কীভাবে খুঁজে পাবেন এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন সময় পেলেই। হঠাৎ করেই তার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো। রাজশাহী শহরে তার অনেক পরিচিত বন্ধু আছে। খুব বেশি কাছের না হলেও বেশিরভাগই ফেসবুক বন্ধু।

ডিজিটাল এই যুগে সব কাজ হয়ে যায় ঘরে বসেই। তাহলে বাসা কেন পাওয়া যাবে না। ফেসবুকের বন্ধুদের উদ্দেশে একটি পোস্ট করলেন।

স্ট্যাটাসে লিখলেন, ‘রাজশাহী শহরে একটা ভালোবাসা খুব দরকার। রাজশাহীর বন্ধুরা ভালোবাসা খুঁজে দিতে একটু সাহায্য করুন।’ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেলেন মফিজ।

সকালে মফিজের ঘুম ভাঙল বউয়ের চিৎকার শুনে। উঠেই দেখেন বউ ঝাড়ু হাতে সামনে দাঁড়িয়ে। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই শরীরে পড়তে শুরু করলো কাশফুলের শক্ত আঘাত। বালিশটা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ধোলাই থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন মফিজ।

বউয়ের চিৎকার আর একের পর এক আক্রমণ তাকে কিছুতেই রক্ষা করতে পারছিল না। ভয়ার্ত কণ্ঠে বলতে লাগলেন, আমি কিছু করিনি! আমি কিছু করিনি। মফিজের স্ত্রী তো আরও রেগে গেলেন। বলতে লাগলেন- কিছু করো নি মানে? তুমি না করলে কি অন্যজন এসে করে দিয়ে গেছে। মফিজ তো আত্মরক্ষা করতে করতে বলতে লাগলেন- আরে কি হয়েছে! কি হয়েছে! বলো আগে।

বউ চিৎকার করে বললেন, ‘আমি থাকতে তোমার রাজশাহী শহরে ভালোবাসা দরকার, তাই না? চাকরি পেতে না পেতেই ওই শহরে প্রেম করার সাধ জেগেছে? এই নাও ভালোবাসা! আজকে তোমার ভালোবাসার সাধ মেটাব। ’

মফিজ ঝাড়ু-ধোলাই থেকে বাঁচতে দৌড়ে পাশের রুমে ঢুকে আপাতত আত্মরক্ষা করলেন। দরজা একটু খুলে বললেন, আমার কথা একটু শোন? এটা সেই ভালোবাসা না।

আমি বাসাবাড়ির কথা বুঝিয়েছিলাম। তুমি আর আমি একসঙ্গে থাকব বলে একটা ভালো দেখে বাসা খুঁজছিলাম। মনে হয় ‘ভালো বাসা’ লিখতে গিয়ে ‘ভালোবাসা’ লিখে ফেলেছিলাম। দুই শব্দের মাঝখানে স্পেস দিতে ভুলে গিয়েছি। মাফ করে দাও। আর বানান ভুল করব না।

ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন