আজকের কৌতুক: ভিড় ঠেলে ছবি তোলার উপায়
ভিড় ঠেলে ছবি তোলার উপায়
হরিপদ একদিন হাইওয়ে ধরে ছুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, এক জায়গায় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গেল, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। হরিপদ ভাবলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে চটজলদি কিছু ছবি না তুললেই নয়।
হরিপদ: একটু সরে যান, সরে যান।
জনগণ: আরে ভাই ঠেলছেন কেন?
হরিপদ: আমি টিকটকার, আমাকে সামনে যেতে দিন।
হরিপদের কোনো কথায়ই কাজ হচ্ছে না। লোকজনের ভিড় ঠেলে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়াই দায়। তাই ফন্দি আঁটলেন হরিপদ—
হরিপদ: দেখি ভাই, আমাকে একটু সামনে যেতে দিন। যিনি মারা গেছেন, তিনি আমার অত্যন্ত আপনজন। একটু সামনে যেতে দিন।
জনগণ: কী বলেন ভাই, সত্যি?
হরিপদ: হ্যাঁ হ্যাঁ, দেখি সরুন।
হরিপদকে জায়গা করে দিলো লোকজন। তিনি সামনে গিয়ে দেখলেন, দুটো ছাগল মরে পড়ে আছে!
****
ভালো শিক্ষকের ছাত্র
এক ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে। ছাত্র পড়ালেখা কিছুই পারে না। একদিন ক্লাসে শিক্ষক ছাত্রকে বলছেন—
শিক্ষক: তুমি তো কিছুই পার না। আমি তোমার বয়সে কঠিন কঠিন অঙ্কগুলো সেকেন্ডের মধ্যে সমাধান করে দিতাম।
ছাত্র: স্যার, আপনি হয়তো ভালো শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন।
শিক্ষক: মানে?
ছাত্র: আপনার শিক্ষক ভালো পড়াতে পারতেন হয়তো। তাই আপনি আজ শিক্ষক হতে পেরেছেন। কী আর করা বলুন, সবার ভাগ্য তো আর সমান হয় না।
****
রেস্তোরাঁয় ধূমপান
একদিন এক লোক রেস্টুরেন্টে গেলেন—
লোক: এই, গরম কী আছে?
ওয়েটার: বিরিয়ানি, খিচুরি, তেহারি।
লোক: আরও গরম কী আছে?
ওয়েটার: মোগলাই পরোটা, পুরি।
লোক: আরও গরম কী আছে?
ওয়েটার: দুধ, চা, কফি।
লোক: আরও গরম কী আছে?
ওয়েটার: আছে চুলার জ্বলন্ত কয়লা।
লোক: যাও, এক প্লেট নিয়ে আসো।
ওয়েটার: কেন? কী করবেন?
লোক: সিগারেট জ্বালাব।
কেএসকে/এসইউ/জিকেএস